ক্ষারক কাকে বলে।ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য|ক্ষারকের বৈশিষ্ট্য
ক্ষারক কাকে বলে: প্রিয় পাঠক, আপনাদের মাঝে আমি এই আর্টিকেলটি উন্মুক্ত করে দিলাম( ক্ষারক কি?) এই সম্বন্ধ্যে। আপনারা যারা ক্ষারক এবং ক্ষারক এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান, তারা দয়া করে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।আমাদের।আর্টিকেলে যা যা থাকছে,
- ক্ষারক কাকে বলে
- ক্ষার কাকে বলে।
- ক্ষারক এর বৈশিষ্ট্য।
- ক্ষারক এর বিক্রিয়া।
- ক্ষার ও ক্ষারক সম্পর্কিত প্রশ্ন।
ক্ষারক কাকে বলে
ক্ষারক কি: ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড যা আসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে।
এখানে ক্ষারক এর সংজ্ঞা আরো ভিন্নভাবে ফেয়া যায়, যেমন, যে সকল পদার্থ দ্রবণে প্রোটন এইচ প্লাস গ্রহণ করে তাদেরকে ক্ষারক বলে।
ক্ষার কাকে বলে
ক্ষার কি: ধাতু ও অধাতুর নাম ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সাইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে।
ক্ষারের সংজ্ঞা: যে সকল ক্ষারক পানিতে সম্পূর্ণভাবে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে। সকল ক্ষার দ্রবণ কটু গন্ধ মুক্ত। ধাতব আয়ন এর সাথে লঘু ক্ষারের বিক্রিয়ায় ধাতব অক্সাইড তৈরি হয়। দুর্বল ক্ষার কাকে বলে: যে সকল খাবার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তাকে দুর্বল ক্ষার বা লঘু ক্ষার বলে।
ক্ষারক এর বৈশিষ্ট্য
ক্ষারক এর বৈশিষ্ট্য বলতে গেলে বলা যায়, ক্ষারক হচ্ছে সেই সকল ধাতব যৌগ কিংবা ধাতুর নেই ক্রিয়াশীল যৌগ মূলক যাদের সাথে অক্সাইড কিংবা হাইড্রো অক্সাইড যুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি, CaO , KOH , NaOH ইত্যাদি। এসকল যৌগে ধাতু বিদ্যমান যা হচ্ছে, Ca , K, Na । এই সকল ধাতুর সাথে আবার অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড হিসেবে যুক্ত আছে OH ।তাই সংজ্ঞানুসারে এই যৌগগুলোকে ক্ষারক বলতে পারি কেননা এই যৌগ গুলো এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। ক্ষারের বৈশিষ্ট্য কোন যৌগ তখনই হবে যখন ওই যৌগের সাথে হাইড্রোক্সাইড (OH) মূলক যুক্ত থাকবে। শুধু হাইড্রোক্সাইড মূলক যুক্ত থাকলেই হবে না সেই হাইড্রোক্সাইড মূলক টিকে পানিতে দ্রবীভূত হওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি খারাপ বলতে বোঝায় সেই সকল যোগ্য কে, যাদের ধাতু কিংবা তুলনায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের সাথে পানিতে দ্রবণীয় হাইড্রোক্সাইড যুক্ত থাকে যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপাদন করে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, NaOH একটি ক্ষারীয় দ্রবণ। যেহেতু সোডিয়াম ধাতুর সাথে হাইড্রোক্সাইড মূলক যুক্ত আছে এবং এই হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবণীয়। তাই এই যৌগটি কে আমরা ক্ষারীয় যৌগ বলতে পারি। সুতরাং বুঝা গেল সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।
ক্ষারক এর বিক্রিয়া।
পাঠকদের সুবিধার্থে আমি নিচে কিছু ক্ষারকের বিক্রিয়া উল্লেখ করছি,
NaOH + H2SO4 ——– Na(SO4) +H2O
আরো পড়ুন ,
- নতুন গেমস ডাউনলোড করুন|২০+ নতুন নতুন গেম ডাউনলোড করুন
- বাংলাদেশের আয়তন কত? কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
- শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য আবেদন পত্র বাংলায় (সেরা ৪টি আবেদনপত্র)
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কোথায় কোথায় ব্যবহার করা যায়
ক্ষার ও ক্ষারক সম্পর্কিত প্রশ্ন।
১। সকল ক্ষার ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় ?ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: আমরা জানি , ঋতু ও ধাতুর মত ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোঅক্সাইড যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে । এবং ক্ষারের সংজ্ঞা হচ্ছে , ধাতু বা ঋতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোঅক্সাইড যৌগ যা পানিতে প্রবণীয় তাকে ক্ষার বলে । উপরিউক্ত সংজ্ঞা দু’টি থেকে আমরা দেখতে পাই , কোনো ধাতব যৌগ কিংবা ধাতব যৌগমূলক তখনই ক্ষারক হবে যখন তার সাথে অক্সাইড কিংবা হাইড্রোঅক্সাইড যৌগ যুক্ত থাকবে । এবং ক্ষারের ক্ষেত্রে লক্ষ করলে দেখতে পাই , কোনো যৌগ ক্ষার হতে হলে অবশ্যই হাইড্রোঅক্সাইড মূলক যুক্ত থাকতে হবে যা দ্রবণীয় । অর্থাৎ , প্রত্যেকটি ক্ষারে যেহেতু অক্সাইড থাকে তাই এটি ক্ষারকে ক্ষারক ও বলা যেতে পারে । নিচের বিক্রিয়া দুইটিতে লক্ষ্য করিঃ
১. NaOH + H2SO4 ——– Na(SO4) +H2O
২. Al(OH)3 +H2O ——— Al(OH)3 ↓ উপরের
প্রথম বিক্রিয়াটিতে Na ধাতু OH যৌগমূলকের সাথে যুক্ত NaOH যৌগটি H2SO4 এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করছে । সংজ্ঞানুসারে NaOH ক্ষারক হয়ে গেল । একই সাথে Na ধাতুর সাথে OH বিদ্যমান যা পানিতে দ্রবীভূত এবং এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে , তাই এটিকে ক্ষার ও বলা যায়।
আবার , পরের বিক্রিয়াটিতে Al( OH )3 যৌগতে OH বিদ্যমান যা সংজ্ঞানুসারে ক্ষারকের অন্তর্ভুক্ত কিন্তু Al ( OH )3 পানি দ্রবীভূত নয় হওয়ার কারণে।সংজ্ঞানুসারে এটি ক্ষার নয় ।
তাই আমরা বলতে পারি , সকল ক্ষার ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের পিকচারটি দেখুন।


আরো পড়ুন,
- পাইলস কি? পাইলস কেনো হয়? পাইলস সারানোর উপায় ?
- মৌলিক পদার্থ কাকে বলে? মৌলিক পদার্থ কি এবং কত প্রকার?
- পদার্থ কাকে বলে? পদার্থ কি এবং কত প্রকার?
২। ক্ষারক কি পানিতে দ্রবীভূত?
ক্ষারক হচ্ছে একটি হাইড্রোক্সাইড এর যৌগ যা পানিতে দ্রবীভূত নয়। অর্থাৎ ক্ষারক হবে এমন যৌগ যাতে হাইড্রোক্সাইড মূলক বিদ্যমান এবং পানিতে দ্রবীভূত নয়। তাই সংজ্ঞা অনুসারে আমরা বলতে পারি ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত নয়।
৩। কোন যৌগতে হাইড্রোক্সাইড বিদ্যমান থাকলে তাকে কি আমরা ক্ষারক বলতে পারব?
কোন যৌগতে হাইড্রোক্সাইড বিদ্যমান থাকলে সেটি কখনোই ক্ষারক হবে না। ক্ষারক হতে হলে সেই যৌগটি কে পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে।
৪। হাইড্রোক্সাইড থাকা সত্ত্বেও কোন বিক্রিয়াটি ক্ষার নয়?
নিচের বিক্রিয়াটিতে হাইড্রোক্সাইড থাকা সত্বেও এটি ক্ষার নয়: Al(OH)3 +H2O ——— Al(OH)3 ↓
৫। এমন একটি বিক্রিয়া লেখ যেটি ক্ষার ও ক্ষারকের অন্তর্ভুক্ত?
NaOH + H2SO4 ——– Na(SO4) +H2O
আমাদের শেষ কথা,
আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি ক্ষার কি? ক্ষারক কি? ক্ষার কাকে বলে? ক্ষারক কাকে বলে? ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য, সকল ক্ষার ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়, ক্ষার ও ক্ষারকের বিভিন্ন বিক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে।
আবার এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন। এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।