আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার অর্জিত জ্ঞান এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ দের থেকে নেওয়া পরামর্শ দিয়ে আজকে একটি আর্টিকেল লিখছি। এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে পাইলস সারানোর উপায়।
আমি যেহেতু পাইলস নিয়ে লিখছি সেহেতু এউ রিলেটেড কিছু বিষয় যোগ করছি যেমন, পাইলস কি? পাইলসের লক্ষণ গুলো কি কি? পাইলস কেন হয়? ইত্যাদি। দয়া করে পুরো লেখাটি পড়বেন যদি আমি পাইলসের প্রাথমিক রোগী হন।এছাড়াও যাদের মনে সন্দেহ হচ্ছে আপনাদের পাইলস হয়েছে, চিন্তা করবেন না। আর্টিকেলটি পড়লেই বুঝতে পাবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
পাইলস কি?
মলদ্বারের সংক্রামক রোগকেই মূলত পাইলস বলে। বিশদভাবে বলতে গেলে মলদ্বার কিংবা মল ত্যাগকারী নালির টিস্যুর স্ফীতি কিংবা সংক্রামক রোগকে পাইলস বলে।আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ এই রোগকে অর্শ্ব রোগ নামে চিনে।
ইংরেজিতে এই রোগকে বলে Hemorrhoids। শুধুমাত্র যে মলত্যাগ কারী নালীর সংক্রমণ এর জন্য পাইলস বা অর্শ রোগ হয় তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মলত্যাগ করে নালীর রক্তজালিকা গুলো যদি কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে এই পাইলস রোগ হতে পারে।
পাইলস আমাদের দেশের একটি খুব সাধারণ রোগ। সাধারণ বললে একটু ভুল হয়েই যাবে যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশে পাইলস রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা খুবই কম। তবে আমেরিকানদের ক্ষেত্রে একটি অতি এবং অত্যন্ত সাধারণ রোগ। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে আমেরিকান প্রতি ১০ জনে একজন পাইলস রোগে আক্রান্ত। তাহলে বুঝতেই পারছেন সেখানে পাইলস রোগের ভয়াবহতা কেমন।
তবে পাইলস হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে অবশ্যই আপনার পাইলস ধরা পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। আজকের এই আর্টিকেলে মূলত আমি পাইলস সারানোর উপায় সম্পর্কে বলবো। পড়তেই থাকুন।
পাইলস কেনো হয়?
আমার বক্তব্যের শুরুতেই বলে দিয়েছি যে মলদ্বারের সংক্রামক রোগ কে পাইলস বলে। অর্থাৎ পাইলস হয় মলদ্বারের সংক্রমণের কারণে। এখন আপনাকে খুঁজতে হবে মলদ্বারের সংক্রমণ কেন হয় এবং কিভাবে হয়। তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন পায়েলস রোগ হওয়ার কারণ কি।
আসলে যেসব কারণে পাইলস রোগ হয়ে থাকে সেগুলো একটি আরেকটির সাথে স্বাভাবিকভাবে সংযুক্ত নয়। পাইলস রোগ হয়ে থাকে বড় বড় গোটা দশেক এর বেশি ভিন্ন ভিন্ন কারণে। এমনকি আপনি অবাক হতে পারেন যে এসব কারণে পাইলস হয়ে থাকে । নিচে তা উল্লেখ করা হলো।
- যাদের দেহ স্থুল আকৃতির তাদের এ রোগটি হতে পারে।গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে স্থুল আকৃতির দেহ পাইলস প্রতিরোধ করতে পারে না অর্থাৎ খুব সহজেই মলদ্বার সংক্রমিত হয়ে যায়। তাই পাইলস হওয়ার এর একটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মোটা হওয়া।
- যারা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন কিংবা দাঁড়িয়ে থাকেন তাদের পাইলস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা এর সাথে মলদ্বারের সংক্রমনের কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই একারনে পাইলস হয়ে থাকে।
- মলত্যাগে পর্যাপ্ত সময় না দিলে পাইলস রোগ হতে পারে। বাস্তবতা এই যে অনেক লোকই অতি তাড়াতাড়ি মলত্যাগ সম্পন্ন করতে চান। ফলে দ্রুত মলত্যাগ করার জন্য অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এর কারণে মলদ্বারের শিরাগুলো কিংবা এর প্রাচীর গোত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে পাইলস রোগের সৃষ্টি হয়।
- হাঁচি-কাশি কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস তাৎক্ষণিক সম্পূর্ণরূপে হঠাৎ বন্ধ করলে হেমোরয়েড বা পাইলস রোগ হতে পারে। এ কারণটা আসলে অবাক করার মতো হলেও এটাই বাস্তবতা। এর কারণ আপনি যখন হঠাৎ হাঁচি-কাশি কিংবা শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ করেন ঠিক তখনই এর প্রভাব আপনার মলদ্বারে পড়ে। মলদ্বারের চাপ সৃষ্টি হয় এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে পাইলস রোগ হয়।
- আপনার খাদ্য তালিকায় যদি নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার না থাকে তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি হবে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আপনার মলদ্বার আঘাতপ্রাপ্ত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পাইলস রোগ হয়ে থাকে।
- পাইলসের জেনেটিক প্রবণতা। অর্থাৎ আপনার পূর্বপুরুষ বা বংশে পাইলস রোগের ইতিহাস থাকলে জেনেটিক্যালি আপনারও পায়েলস রোগ হতে পারে। বাস্তবতা এই যে আপনার বাবার মলদ্বারে রক্ত শিরা গুলি দুর্বল থাকলে আপনার ও মলদ্বারের রক্ত শিরাগুলি দুর্বল হতে পারে।
- পায়খানা চেপে রাখার কারণে পাইলস হয়ে থাকে। পায়খানা চেপে রাখার কারণে তা মলদ্বারের জমা হয় এবং শক্ত আকার ধারণ করে। এই শক্ত মল, মলদ্বারের গায় চাপ এবং ঘর্ষণের সৃষ্টি করে ফলে মলদ্বারের ভেতরে এবং বাইরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এ কারনেও পাইলস হতে পারে।
- গর্ভবতী মহিলাদের পাইলস রোগ হতে পারে। এর কারণ পেটে বাচ্চা ধারণ করার জন্য গর্ভবতী মহিলাদের মলদ্বারে এক ধরনের আলাদা চাপ সৃষ্টি হয়। তবে তার স্বাভাবিক ভাবে কোনো ক্ষতি করে না। এই চাপ যদি অস্বাভাবিক পর্যায়ে যায় তাহলেই কেবল পাইলস রোগ হয়ে থাকে।
- অতিরিক্ত এবং প্রায় প্রায় কফযুক্ত কাশি এবং সর্দি হলে পাইলস রোগ হতে পারে।
- মলদ্বারের বাইরে উম্মুক্ত অংশ পরিষ্কার করার জন্য অত্যাধিক চাপ প্রয়োগ, ক্রিকবাজ জোরে ঘষাঘষি করলে মলদ্বারের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে । যার কারণে পাইলস রোগ হয়।
- অতিরিক্ত ওজন উত্তোলন করার জন্য আপনার মলদ্বারের চাপ পড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত ভর উত্তোলন করার জন্য পাইলস রোগ হয়ে থাকে।
- বাথরুমে মলত্যাগ করার সময় অতিরিক্ত সময় বসে থাকলে পায়েল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের পরামর্শ হচ্ছে মলত্যাগ করার সময় পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করা বেশিও না কমও নয়।
অবশ্যই পড়ুন,
- ১০+ ভালো ভালো গেমস | ডাউনলোড করুন একদম ফ্রিতে
- তড়িৎ ঋণাত্নকতা কাকে বলে| তড়িৎ ঋণাত্নকতা কি?(পর্যায়বৃত্ত ধর্ম)
- সুরা লাহাব এর পূর্ণ ব্যাখ্যা। বাংলা অনুবাদ, শানে নুযুল ও তাফসির।
পাইলস রোগের লক্ষণ কি কি?
পাইলস রোগ হওয়ার সাথে সাথে এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। সাধারনত এই রোগকে নিশ্চিত করতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয় না। নিজেই এই রোগের লক্ষণগুলো সাথে মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি পাইলস রোগ কি না? তবে ডাক্তারের সাহায্যে ও এই রোগ নির্ণয় করা যায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো।
- মলত্যাগের সময় মলদ্বার দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসা। যেহেতু পাইলস রোগে মলাশয় মল ত্যাগকারী নালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাই সেখান থেকে রক্ত বেরিয়ে আসা স্বাভাবিক। এবং রক্তের রং সাধারণত গাঢ় লাল রঙের হয়। যে ধরনের পাইলস থেকে রক্ত নির্গত হয় তাকে ইংরেজিতে thrombosed external piles বলে।
- পাইলস যদি একটু বড় মাপের হয় তাহলে সব সময় মলদ্বার গাত্রে ব্যথা অনুভূত হতে থাকবে। কেননা স্বাভাবিক নিয়মে মানুষের মলদ্বারের নালী গুলি নড়াচড়া করতে থাকে। নড়াচড়া করার কারণে সেখানে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয় এবং ব্যথা অনুভূত হয়।
- বিশেষ করে মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভূত হতে পারে। মানুষের মল গুলো যখন মলদ্বার দিয়ে পায়ুপথের সাহায্যে বাইরে বের হয়ে আসে তখন সেগুলো মলদ্বারের গায়ে ঘর্ষণের সৃষ্টি করে। যেহেতু পাইলস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত সংক্রমিত আগে থেকেই হয়ে থাকে তাই মল বের হওয়ার সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
- পাইলস রোগ হলে মলদ্বারে ফুসকুড়ি বা চুলকানি হয়। যেহেতু পাইলস রোগে মলদ্বারের গাত্র সংক্রমিত হয় তাই চুলকানি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
- পাইলস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মলদ্বারের গাত্র ফাটা লাল এবং ক্ষত পূর্ণ হয়ে থাকে। তবে এই লক্ষণ মলদ্বারের বাইরের অংশের চেয়ে ভেতরের অংশে বেশি প্রকাশ পায়।
পাইলস রোগের কুফল গুলো কি কি?
যদিও পাইলস রোগ সাধারণ অবস্থায় অতটা মারাত্নক নয় তবে এর কূফল কোনো অংশে মারাত্নক রোগগুলোর থেকে কম নয়।যেহেতু পাইলস রোগের কারণে মল নালী দিয়ে রক্ত নির্গত হয়। তাই গবেষণায় দেখা গেছে পাইলস রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের রক্তস্বল্পতা হয়ে থাকে। যেটাকে আমরা ইংরেজিতে Anemia বলে থাকি। এটি আবার আরএক ধরনের মারাত্নক রোগ।
পাইলস রোগে আক্রান্ত রোগীদের ইনফেকসন হতে পারে।মলদ্বারের পর্দা ফেটে যাওয়ার জন্য ইনফেকসনের ঝুকি আরো বেড়ে যায়। কারণ তখন মলনালীর পর্দা না থাকায় মল সরাসরি মলদ্বারের স্পর্শকাতর অংশে লাগে। মলে অত্যন্ত খারাপ পদার্থ থাকার জন্য ইনফেকসন হয়।
পাইলস রোগের চিকিৎসা খুব দ্রুত করতে হয়। কারণ এর একটি বড় ধরনের ঝুঁকি আছে।এই রোগটি বড় ধরনের পর্যায়ে চলে গেলে ইনফেকসন থেকে ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না। যাদের মারাত্বক পর্যায়ে তাদের অন্তত বসে মোবাইল টেপার অবস্থা থাকতো না।এই যে আপনি মোবাইল টিপছেন, আশা করি মলদ্বারে খুব বেশী একটা যন্ত্রনা করছে না, অন্ত্যত নিশ্চিত থাকুন আপনি পাইলস রোগের চরম পর্যায়ে নেই।
এছাড়াও আরো অনেক ক্ষতি আছে পাইলস রোগের, যেমন, পাইলস রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মলদ্বারের গাত্রের যে রক্তনালী থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সেখানে রক্ত সঞ্চালিত হতে পারে না। ফলে সেখানে রক্ত জমাট বাধে এবং ইনফেকসন হওয়ার সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।পড়তেই থাকুন পাইলস সারানোর উপায়
পাইলস রোগের প্রকারভেদ।
পাইলস রোগকে সাধারণত দুইটি শ্রেণিতে এবং চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়।ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী এই রোগগুলোকে নিম্নোক্তভাবে পর্যালোচনা করা যায়।
১। অন্তঃপাইলস
এ পাইলসে পায়ুপথের ভিতরের অংশ সংক্রমিত হয়।এখানে ভেতর অংশ বুঝাতে গেলে আপনাকে একটি উদাহরণ দেয়া যায়। ধরেন আপনার মল, যে পথে আসে সেটা একটা পাইপ।আর সেই পাইপের ভেতর অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই পাইলস হয়। এখানে ভেতরের অংশ বলতে পাইপের ভেতরের অংশ বাইরের অংশ নয়।
২।বহিঃপাইলস
এটি আগের পাইলসের বিপরীত।অর্থাৎ এই পাইলস হয় পায়ুপথের বাইরের অংশের সংক্রমণের কারণে।এই পাইলস খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কারণ পায়ুনালীর বাইরের অংশ অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং যেখানে সাধারণ মানুষ নাগাল পায় না।
এখানে পায়ুনালীর বাইরের অংশ বলতে উদাহরণের পাইপের বাইরের অংশ কে বুঝাচ্ছি আর সেখানে কোনো মল থাকে না।
উপরিউক্ত দুই রকমের পাইলস ব্যাতীত আরো এক ধরনের পাইলস আছে। যেটি একটু ব্যাতিক্রম ধর্মী।আমরা জানলাম পাইলস হয় পায়ুপথের ভিতরে বা বাইরে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের ব্যাতিক্রম হিসেবে দুই রকমের পাইলস একসাথে হতে পারে। অর্থাৎ পায়ুনালীর ভিতর এবং বাইরে উভয় পাশে সংক্রমিত হয়।
যদি কোনো মানুষের এয় ধরনের পাইলস হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবং এই পাইলস চরম পর্যায়ে পৌছে গেলে আর কিচ্ছু করার থাকে না অপারেশন করা ছাড়া।
এখন আসি কোন পাইলস কতটা মারাত্নক। ক্ষতির দিক থেকে আপনি কত নাম্বার পর্যায়ে আছেন।আমরা কিছু দিকনির্দেশনা দিব এবং পাইলস সারানোর উপায় বলে দিবো যা দিয়ে আপনি উপকৃত হতে পারবেন। নিচের পর্যায় গুলো খেয়াল করেন,
১। প্রথম পর্যায়:
প্রথম পর্যায়ে পাইলস রোগের অতি সাধারণ একটি অবস্থা। এ অবস্থায় পায়ুনালী এর গাত্রের টিস্যুগুলো সামান্য পরিমাণের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে মলত্যাগ করার সময় সামান্য কিংবা বেশি পরিমাণে ব্যথা হতে পারে।যেহেতু এটি পাইলস রোগের প্রথম পর্যায় তাই এই পর্যায়ে পায়ুপথে রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে আবার নাও পারে।
২। দ্বিতীয় পর্যায়:
পাইলসের এই পর্যায়টি প্রথম পর্যায় থেকে একটু প্রকট । পায়ুপথের গাত্র প্রথম পর্যায় থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে পায়ুপথ ফুলে যায়। এর কারণে মলত্যাগ করার সময় অনেক কষ্ট হয়। আবার ব্যতিক্রম হিসেবে কোন কোন বার পায়ুপথ সামান্য বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে। তবে এ পর্যায়ে পায়ুপথ সামান্য বেরিয়ে আসলেও তা আপনা আপনি ঠিক হয়ে যায়।
৩। তৃতীয় পর্যায়:
পাইলসের এই পর্যায়ে তৃতীয় পর্যায়ে থেকে মারাত্মক। সাধারণ এবং প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরণ করে পর্যায়ে পায়েলকে প্রতিকার করা সামান্য পরিমাণে অসম্ভব বটে। ব্যতিক্রম হিসেবে এই পর্যায়ে রোগীদের ঔষধ সেবন করতে হয়। পায়ুপথের গাত্র বেশি পরিমাণে ক্ষত হওয়ার কারণে পায়ুপথ থেকে রক্ত নির্গত হয় এবং পায়ুপথ বাইরে বের হয়ে আসতে পারে। যেহেতু মলত্যাগ করার সময় পায়ুপথ বাইরে বের হয়ে আসে এবং তা আপনা আপনি ঠিক হয় না তাই হাত দিয়ে পায়ুপথ ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হয়।
৪। চতুর্থ পর্যায়:
এটি পাইলসের একদম চরম পর্যায়ে। এই পর্যায়ে একজন মানুষের পক্ষে কষ্ট সহ্য করা প্রায় অসম্ভব। পায়ুপথ ক্ষত সৃষ্টি হতে হতে এমন পর্যায়ে চলে যায় যে পায়ুপথে পচন ধরে যায়। এক্ষেত্রে এ পর্যায়ে রোগীদের অবশ্যই অপারেশন করতে হয়। তা না হলে এ পর্যায়ে রোগীদের পরবর্তী ধাপ হচ্ছে ক্যান্সার। এ পর্যায়ে ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হলে নিশ্চয়ই ক্যান্সার হবে। তাই পাইলস রোগ সম্পর্কে সাবধান থাকবেন।
অবশ্যই পড়ুন,
- বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর বিস্তারিত পরিসংখ্যান।
- সেরা ৫ টি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল (5 Best Keyword research tool)
- চিঠি লেখার নিয়ম বাংলায় (Rules of writing letters in Bengali)
পাইলস সারানোর উপায় ?
সাধারণত আমাদের দেওয়া প্রথম থেকে চতুর্থ পর্যায় পর্যন্ত চিকিৎসার মাধ্যমে পায়েলস সারানো যায়। তবে আপনারা যদি প্রাকৃতিক ঔষধ দিয়ে পাইলস সরাতে চান তাহলে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের সরাতে পারবেন। ব্যতিক্রম হিসেবে কোন কোন ক্ষেত্রে তৃতীয় পর্যায় সহ প্রাকৃতিক ঔষধ দিয়ে সরানো যায়।
আবার পায়েলস যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে পায়ুপথ সার্জারি করতে হবে। এই সার্জারি কেবল তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ের জন্য প্রযোজ্য। এছাড়াও ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞরা পাইলস সারানোর উপায় হিসেবে বিভিন্ন পাইলস এর ঔষধ দিয়ে থাকেন। নিচে তা বৃহৎ পরিসরে আলোচনা করা হল।পড়তেই থাকুন পাইলস সারানোর উপায়।
পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা।
১। লেবু এবং আদার রস:
আমরা জানি পাইলস হয় মূলত ডিহাইড্রেশনের কারণে। আপনি যদি একটা লেবু এবং সামান্য পরিমাণ আদা কে বেটে তার রস একত্র করে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার ডিহাইড্রেশন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। আপনার ডিহাইড্রেশন সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে অটোমেটিক পাইলস রোগ সেরে যাবে।
২। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া:
কাঁচা পেঁয়াজ পাইলসের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি বস্তু।কাচা পেয়াজে এমন কিছু আপাদান থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্যান্সার ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। নিচে কাচা পেয়াজের উপাদান গুলো দেখুন।১০০ গ্রাম কাচা পেয়াজে যা যা থাকে,
- ক্যালোরীঃ ৪০ কিলো ক্যালরি।
- পানিঃ ৮৯%
- প্রোটিনঃ ১.১ গ্রাম।
- কার্বোহাইড্রেটঃ ৯.৩ গ্রাম।
- সুগারঃ ৪.২ গ্রাম।
- ফাইবারঃ ১.৭ গ্রাম।
- ফ্যাটঃ ০.১ গ্রাম।
উপরিউক্ত উপাদান গুলো থেকে দেখা যাচ্ছে পেয়াজে পানি এবং ফাইবার আছে। তাই এই উপাদান দুটি থাকার জন্যে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ক্যান্সার এর ঝুকি অনেক আংশে কমে যাবে।যেহেতু কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ক্যান্সার পাইলসের সাথে জড়িত তাই পেয়াজ খেলে পাইলস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
৩।ডুমুর বা ত্বীণ ফল।
এই ফল নিয়মিত খেলে পাইলস রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।এটি আরব দেশের একটি ফল যা বাংলাদেশে খুব কম পরিমাণে আবাদ হয়।এই ফলটি সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা বলেছেন।আল্লাহ তায়ালা এই ফলটির কসম খেয়েছেন। ডুমুর ফল খাওয়ার একটি বিশেষ নিয়ম আছে, তবে আপনি সাধারণ নিয়মেও ক্ষেতে পারেন। নিয়মটি হলো, রাতে ডুমুর ফুল ভিজিয়ে রাখবেন, সকালে উঠে সেই ডুমুর ভেজা পানি অর্ধে খেয়ে নিতে হবে এবং বাকি অর্শেক পানি বিকেল বেলায় খেয়ে নিতে হবে।
৩০ গ্রাম ডুমুর ফলে যা যা পাওয়া যায়,
- ২৯০ কিলোজুল শক্তি
- ১.১ গ্রাম প্রোটিন
- ০.৫ গ্রাম ফ্যাট।
- ১৫.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট।
- ৩ গ্রাম ফাইবার
- ২৯১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম
- ৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
- ২৪ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম
- ১.২৬ গ্রাম আয়রন
পেয়াজের মত এই ফলেও আমরা ফাইবার পাচ্ছি। অর্থাত এই ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় যা পাইলস রোগে সারানোর উপায় হতে পারে।
৪। কলা খাওয়া:
পাইলস রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কলা খাওয়া যেতে পারে। কলাতে এমন এক ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে পাইলস রোগ কিছুটা নিরাময় হয়। তবে আমাদের বলা কোন ঘরোয়া উপায়ে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে না। নির্দিষ্ট এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ এই ফলগুলো খেতে হবে।
আমরা জানি কলা খেলে মানুষের স্থূলতা পর্যাপ্ত পরিমাণে কমে আসে অর্থাৎ মানুষের ওজন কমে আসে। তাই কলা পাইলস রোগের জন্য একটি কার্যকরী ফল।
৫। পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম।
আমরা জানি পাইলস রোগ নিরাময়ে ব্যায়াম অত্যন্ত একটি ভালো প্রতিরোধক। পাইলস রোগ প্রতিকার করার জন্য আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে বেশিও নয় কমও নয়। আপনি যদি ব্যায়াম কম করে থাকেন তাহলে আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সমস্যা হবে। আর যদি বেশি ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে পাইলস রোগ সারার বদলে উল্টা বাড়তে থাকবে।
তাই অধিক ভারোত্তোলন এক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হয়।পড়তে থাকুন পাইলস সারানোর উপায়।
পাইলস এর এলোপ্যাথিক চিকিৎসা।
পাইলস সারানোর জন্য ডাক্তাররা এলোপ্যাথিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন ঔষধ দিয়ে থাকেন। নিচে পাইলস নির্ণয় ও নিরাময়ের জন্য কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ক্ষতস্থান এর উপরে আস্তরন(Banding):
পাইলস প্রতিরোধের জন্য মূলত এ কাজটি করা হয়। ডাক্তার একটি স্থিতিস্থাপক একটি ব্যান্ড বা আস্তরণ পাইলসের ক্ষতস্থানের উপরে লাগিয়ে দেন যাতে সেখানে আবার নতুন করে ক্ষতের সৃষ্টি না হয়। এবং এই ব্যান্ড বা আস্তরণ লাগানোর কারণে কিছুদিনের মধ্যে পাইলস এর নতুন ক্ষত সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এবং পুরনো কথা গুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়। এই পদ্ধতিটি প্রযোজ্য কেবলমাত্র পাইলসের প্রথম থেকে তৃতীয় পর্যায়ের জন্য।
স্ক্লেরোথেরাপি (Sclerotherapy):
স্ক্লেরোথেরাপি মাধ্যমে মেডিসিন শরীরের মধ্যে ইনজেক্ট করা হয়। সাধারণত পাইলসের ক্ষতস্থান বাড়তেই থাকে। পাইলসের ক্ষতস্থান সংকুচিত করার জন্য এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়। ব্যান্ডিং বা আস্তরণ দেওয়ার বিকল্প হিসেবে এই স্কেলের থেরাপি দেওয়া যেতে পারে। তবে এই স্ক্লেরোথেরাপি পাইলস এর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে রোগীদের জন্য প্রযোজ্য।
ইনফ্রারেড কোএগুলেশন (infrared coagulation)
এই পদ্ধতিটিকে ইনফ্রারেড লাইট কোয়াগুলেশন ও বলে। এই পদ্ধতিতে একটি ডিভাইস মলদ্বারের ভেতরে ঢোকানো হয় এবং ক্ষতিকর পচনশীল এবং ক্ষতস্থান গুলো কে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তবে এই পদ্ধতিটি কেবলমাত্র পাইলস রোগের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে রোগীরা ব্যবহার করতে পারবেন।
হেমোরয়েডেকটমী (Hemorrhoidectomy):
পাইলস রোগ নিরাময়ে টি সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিকার ব্যবস্থা। এ পদ্ধতির মাধ্যমে যেসব টিস্যু ক্ষত পূর্ণ বা পচনশীল এবং যেসব টিস্যু থেকে রক্তক্ষরণ হয় সেসব টিস্যুকে উপড়ে ফেলা হয়। ফলে পাইলস রোগ পুরোপুরি প্রতিকার করা সম্ভব হয়। তবে এই প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল। বিভিন্ন সার্জারির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
এটি সম্পূর্ণরূপে পাইলস উপরে ফেললেও এর কয়েকটি রিস্ক আছে। যেমন মূত্রনালীর ইনফেকশন কিংবা পরবর্তীতে মলত্যাগ করতে সামান্য সমস্যা হতে পারে। তবে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে এ সমস্যা ঠিক হয় না।
পাইলস এর ঔষধ এর নাম
পাইলস এর ঔষধের নাম নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। কেননা পাইলস রোগ বিভিন্ন বয়সে হতে পারে যেমন গর্ভবতীদের বয়স্কদের কিংবা তরুণ-যুবকদের। একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম ঔষধ প্রযোজ্য। গর্ভবতীদের পাইলসের ঔষধ তরুণদের পাইলস এর ঔষধের সাথে চলে না। এজন্য পাইলসের ঔষধ নিতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়। তবু আমার সেরা কিছু ঔষধ আপনাদের বলে দিব তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এগুলো কখনো খাবেন না। আমি আবারও বলছি এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খেতে বারণ করছি। নিচে পাঁচটি পাইলসের ঔষধ এর নাম দেওয়া হল।
- Hydrocortisone/Pramoxine
- Lidocaine
- Phenylephrine
- Dibucaine
- Analpram-HC
পাইলস এর মলম বা অয়েনমেন্ট
পাইলসের জন্য আপনি অবশ্যই মলম ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ও আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা বিশেষ করে পাইলস এর মলম গুলোতে বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা আপনার পাইলস এর ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মলম হলে আপনার ক্ষতি করতে পারে। আপনাদের সুবিধার্থে আমি পাঁচ রকমের মলমের নাম তুলে ধরলাম। আপনারা যথাসাধ্য ডাক্তারের কাছে যাচাই করে মলম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- Shield rectal ointment
- Recticare anorectal cream
- Tronolane hemorrhoid cream
- Equate hemorrhoid cream
- Anovate cream
পাইলস রোগ প্রতিরোধে করণীয়?
আপনাদের যাদের পাইলস এখনো হয়নি তাদের জন্য পূর্ববর্তী করণীয় কি? আসলে পাইলস রোগ হয়ে থাকে সামান্য অসাবধানতার কারণে। শুধুমাত্র সেগুলো পরিহার করলে পাইলস থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। নিচের কয়েকটি পয়েন্ট লক্ষ করুন।
১। মশলাযুক্ত খাবার পরিহার:
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ মসলাযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করে। আসলে মসলাযুক্ত খাবার পরিহার , এটা ঠিক কথা নয়। আপনি মসলাযুক্ত খাবার খেতে পারে তবে সেটা উপযুক্ত পরিমাণে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাবার কারণে আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এর সমস্যা হয় এবং পাইলস রোগের সৃষ্টি হয়।
২। আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া:
আমরা জানি আঁশযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে আর কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলস রোগ সৃষ্টি করে। তাই আমাদের খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার যুক্ত করতে হবে তাহলেই পাইলস রোগ এড়ানোর সম্ভব। আঁশযুক্ত খাবার বলতে বিভিন্ন ফলের বিচি, নারিকেল, আম কাঁঠাল ইত্যাদি।
৩। পরিমিত ব্যায়াম করা:
আমাদের দেশে দেখা যায় কেউ কেউ ব্যায়ামই করে না আবার কেউ কেউ এমন ব্যায়াম করে ফেলে যা পাইলস রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যায়াম না করলে ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এর সমস্যা হয় পাইলস হতে পারে আবার অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে পায়ুপথের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আমাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পরিমিত ব্যায়াম করতে হবে।
৪। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ:
আমরা জানি শরীরের অতিরিক্ত ওজনের জন্য পাইলস রোগ হয়ে থাকে। তাই আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রন করা দরকার। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করতে হবে বেশিও না কমও না।
Read more,
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা, সাথে পিডিএফ (পরীক্ষা ও রচনা প্রতিযোগিতার জন্য)
- গুগল একাউন্ট কিভাবে খুলে |জিমেইল একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়?
- পদার্থ কাকে বলে? পদার্থ কি এবং কত প্রকার?
পাইলস রোগের ছবি।
নিচে কিছু পাইলস রোগের ছবি দেয়া হলো,
আমাদের শেষ কথা,
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমি পাইলস সারানোর উপায় সহ অর্শ রোগ থেকে মুক্তির উপায় , পাইলস এর ঔষধের নাম এবং অর্শ রোগের চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে বর্ণনা করেছি। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি তথ্যবহুল ছিল।
এছাড়া আমরা বলেছি পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ সম্পর্কে। আপনারা যারা বিনা অপারেশনে ফিস্টুলা থেকে বাঁচতে চান তারা এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়লে আমার মনে হয় অশ্ব রোগ থেকে বাঁচতে পারবে।
দয়া করে আমাদের আর্টিকেলটি ফেসবুকে শেয়ার করে দিবেন। আজকে এ পর্যন্তই। ভালো থাকবেন।