Skip to content

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর বিস্তারিত পরিসংখ্যান।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। কে বা না চিনে এই যুগে। ক্রিকেট হচ্ছে সভ্য জাতির খেলা। যদিও ক্রিকেট এর উৎপত্তি হয়েছে ব্রিটেনে তবে ক্রিকেট নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের লোকজনের উদ্বিগ্নতা কম নয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ক্রিকেটের নাম বললে কেইবা না চিনে অথচ ক্রিকেট পছন্দ না করা মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে তো আজকের আর্টিকেলে আমি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। 

বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার ইতিহাস খুব একটা প্রাচীন না হলেও ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্থান ‌‌খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে বলার আগে ক্রিকেটের উৎপত্তি সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেই।

ক্রিকেটের উৎপত্তি

বিশেষজ্ঞদের অভিমত আছে যে, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের ঘন জঙ্গলভূমি এবং ক্লিয়ারিংয়ের অঞ্চল ওয়েল্ডে বসবাসকারী শিশুদের দ্বারা স্যাক্সন বা নরম্যান যুগে ক্রিকেট উদ্ভাবিত হয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্কদের খেলা হিসেবে ক্রিকেটের প্রথম খেলা ১৬১১ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং একই বছরে একটি অভিধান ক্রিকেটকে ছেলেদের খেলা হিসেবে প্রকাশিত করে।

সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে গ্রাম ক্রিকেটের বিকাশ ঘটেছিল এবং শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ইংরেজী “কাউন্টি দল” গঠিত হয়েছিল, কারণ গ্রাম্য ক্রিকেটের “স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা” প্রথম দিকের পেশাদার হিসেবে নিযুক্ত ছিল।

১৮ শতকের প্রথমার্ধে ক্রিকেট লন্ডন এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব কাউন্টিতে একটি প্রধান খেলা হিসেবে পরিচিত ছিলো। এর বিস্তার, ভ্রমণের সীমাবদ্ধতা দ্বারা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এটি ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের অন্যান্য অংশে জনপ্রিয়তা অর্জন করছিল।

১৭৪৪ সালে, ক্রিকেটের নিয়মাবলি প্রথম লেখা হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে ১৭৭৪ সালে তা সংশোধন করা হয়েছিল, যখন এলবিডব্লিউ, ৩য় স্টাম্প, – মিডল স্টাম্প এবং ব্যাটের সর্বাধিক দৈর্ঘ প্রস্থের মতো উদ্ভাবন যোগ করা হয়েছিল।

১৭৬০ সালের কিছু সময় পর বোলাররা বল পিচ করতে শুরু করলে এবং ঘূর্ণি বল করা শুরু করলে ব্যাট পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ঘূর্ণি বল উদ্ভাবনের প্রতিক্রিয়ায় সোজা ব্যাট পুরাতন “হকি-স্টিক” ব্যাটের বদলে প্রতিস্থাপন করে।

হ্যাম্পশায়ারের হ্যাম্বলডন ক্লাবটি, ১৭৮৭ সালে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড খোলার আগ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ বছর ধরে খেলাটির কেন্দ্রবিন্দু ছিল।

১৭ তম শতাব্দীর প্রথম দিকে ইংরেজ উপনিবেশের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকায় ক্রিকেট চালু হয়েছিল এবং ১৮ শতকে এটি বিশ্বের অন্যান্য অংশে এসেছিল। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ঔপনিবেশিকদের দ্বারা এবং ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মেরিনারদের দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছিল।

এটি ১৭৮৯ সালে উপনিবেশ স্থাপনের সাথে সাথে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিল এবং ৯ শতকের প্রথম দিকে খেলাটি নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছিল।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর উৎপত্তি খুব সম্ভবত স্বাধীনতার পরপরই হয়েছিল।শুরুর দিকে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে কেউই ভালো করে চিনত না। ধীরে ধীরে বাংলাদেশে তার ক্রিকেট সক্ষমতার প্রকাশ ঘটিয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ক্রিকেট বিশ্বে খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে।

 বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাস বা পরিসংখ্যানঃ

যদিও দুই শতাব্দি আগে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের দ্বারা ক্রিকেট প্রবর্তিত হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলার প্রচলন সমানহারে ছিল। স্বাধীনতার পাওয়ার পর ১৯৭২ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা বিসিবি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিসিবি বিশ্বের চতুর্থ তম ধনী ক্রিকেট বোর্ড ।

বাংলাদেশে বিশ্ব সর্বপ্রথম বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭৯ সালে। এ বছরই বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে ইংল্যান্ড আইসিসি ট্রফিতে। এই আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল চারটি ম্যাচের মধ্যে দুইটি ম্যাচ জয়লাভ করে এবং দুইটি মার্চ পরাজয় বরণ করে।

এরপর প্রায় সাত বছর পর বাংলাদেশ সর্বপ্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে। বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ যা এশিয়া কাপ ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ধীরে সফলতার মুখ দেখতে থাকে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতে এবং বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় ১৯৯৯ সালের ইংল্যান্ড আইসিসি ট্রফিতে।

উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্থায়ী সদস্য পদ লাভ করে ১৯৯৭ সালে।

১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাও খেলতে গিয়েই বাংলাদেশ বিশ্ববাসীকে চমকে দেয়। এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে শোচনীয় ভাবে পরাজিত করে। এরপর ইংল্যান্ড এ অনুষ্ঠিত ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে বিস্ময় সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস শুরু হয় আজ থেকে মাত্র বিশ বছর আগে। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুই নয় । বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে প্রথম টেস্ট খেলে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ।

দশম টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০০ সালে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। এ ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর প্রাচীন পরিসংখ্যান।

 

  সাম্প্রতিক সময়ের বাংলাদেশ ক্রিকেট

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দর্শকনন্দিত ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে । ২০১১ সালের বিশ্বকাপ সাফল্যের পর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে । ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ । বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন আরও শানিত হয়েছে । পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ , সাউথ আফ্রিকা ও ভারতকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে , ক্রিকেটবিশ্বে তারা আর ‘ আন্ডার ডগ ’ নেই । তারা এখন শুধু জয়ের জন্যই ক্রিকেট খেলে । ২০১৮ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে বাংলাদেশ রানার্স আপ হয় ।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে। সেখানে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আয়ারল্যান্ড। সেখানেই সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়লাভ করে। বাংলাদেশের আগেও একটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলেছিলো যার নাম ছিলো “নিদাস ট্রফি”।এই সিরিজে অংশ গ্রহণ করেছিলো বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং ভারত। ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশ যথেষ্ট মোকাবিলা করেছিলো।

এছাড়াও ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩-০, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-০, নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে ৩-২ এ টি টুয়েন্টি সিরিজ জেতে। উল্লেখ্য যে এই প্রথম বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর ক্যাপ্টেন্সি হচ্ছে আরেকটি মর্যাদাপূর্ণ নাম। এক এক সময়ে এক এক অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন বাংলাদেশ এর ক্রিকেট কে করেছে বিশ্বমানের। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে “মাশরাফি ” নামটি যেনো এক উজ্বল নক্ষত্র। ক্যাপ্টেন্সিতে তারই সাফল্য সবচেয়ে বেশী।

এক নজরে,

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেনের তালিকা

 

। নাইমুর রহমান(২০০০ থেকে -২০০২ সাল)

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৫ টি।

i.বাংলাদেশ বনাম ভারত (২০০০ থেকে – ২০০১ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ।

ii.বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে (২০০০ থেকে -২০০১ সাল, ভেনু – জিম্বাবুয়ে।

iii. বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান(২০০১ থেকে – ২০০২ সাল), ভেনু- পাকিস্তান।

iv. বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা (২০০১ থেকে – ২০০২ সাল), ভেনু- শ্রীলঙ্কা ।

v. বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে (২০০১ থেকে – ২০০২ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ।

। খালেদ মাসুদ ( ২০০১ থেকে – ২০০৫ সাল)

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৬ টি।

i.বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড (২০০১ থেকে – ২০০২ সাল), ভেনু- নিউজিল্যান্ড।

ii.বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান(২০০১ থেকে – ২০০২ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ।

iii.বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা (২০০২ থেকে – ২০০৩ সাল), ভেনু- শ্রীলঙ্কা।

iv.বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০১ থেকে – ২০০২ সাল), ভেনু- দক্ষিণ আফ্রিকা।

v. বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০০২ থেকে – ২০০৩ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ ।

vi. বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড(২০০১ থেকে – ২০০২ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ ।

 

। খালেদ মাহমুদ ( ২০০৩ থেকে – ২০০৪ সাল)

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৪ টি।

i. বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৩ থেকে – ২০০৪ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ ।

ii.বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া (২০০৩ থেকে – ২০০৪ সাল), ভেনু- অস্ট্রেলিয়া।

iii. বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান(২০০৩ থেকে – ২০০৪ সাল), ভেনু- পাকিস্তান।

iv.বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড(২০০৩ থেকে – ২০০৪ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ ।

 

৪। হাবিবুল বাসার(২০০৩ থেকে – ২০০৬ সাল)

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৮ টি।

i.বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে (২০০৩ থেকে – ২০০৪ সাল), ভেনু- জিম্বাবুয়ে।

ii. বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০০৪ থেকে – ২০০৫ সাল), ভেনু- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ।

iii. বাংলাদেশ বনাম ভারত (২০০৪ থেকে – ২০০৫ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ।

iv.বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে (২০০৪ থেকে – ২০০৫ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ ।

v. বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড (২০০৫থেকে – ২০০৬ সাল), ভেনু- ইংল্যান্ড ।

vi.বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা (২০০৫ থেকে – ২০০৬ সাল), ভেনু- শ্রীলঙ্কা।

vii.বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা (২০০৫ থেকে – ২০০৬ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ ।

Viii.বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া (২০০৫ থেকে – ২০০৬ সাল), ভেনু- বাংলাদেশ ।

 

এই ছিলো আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের তথ্যভান্ডারের কিছু অংশ। এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জন টেস্ট ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন হয়েছেন। যেমন, মুশফিকুর রহিম, মমিনুল হক প্রমুখ। যেহেতু এসব ক্রিকেটার অবসর গ্রহণ করেনি তাই তাদের পরিসংখ্যান দেয়া হয়নি।

 

ওখন আসি ওয়ানডে ক্রিকেট পরিসংখ্যান এ। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল প্রায় সব দেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচে জয়লাভ করেছে।

এক নজরে,

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যাপ্টেদের তালিকা

 

১।গাজী আশরাফ (১৯৮৫ থেকে – ১৯৯০ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ৭ টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৭ টি ম্যাচে।

 

২।মিনহাজুল আবেদিন (১৯৯০ থেকে- ১৯৯৪ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ২ টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ২ টি ম্যাচে।

 

৩।আকরাম খান (১৯৯৪ থেকে -১৯৯৮ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ১৫ টি।

জয়লাভ করেছেন- ১ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১৪ টি ম্যাচে।

৪। আমিনুল ইসলাম (১৯৯৭থেকে -২০০০ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন -১৬ টি।

জয়লাভ করেছেন- ২ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১৪ টি ম্যাচে।

৫।নাইমুর রহমান (২০০০ থেকে -২০০১ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ৪ টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৪ টি ম্যাচে।

৬।খালেদ মাসুদ (২০০১ থেকে – ২০০৫ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ৩০ টি।

জয়লাভ করেছেন- ৪ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ২৪ টি ম্যাচে।

অমিমাংসিত হয়েছে- ২ টি ম্যাচ।

 

৭।খালেদ মাহমুদ (২০০৩ থেকে- ২০০৪ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ১৫ টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১৫ টি ম্যাচে।

 

৮।হাবিবুল বাসার (২০০৩ থেকে-২০০৭ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ৬৯ টি।

জয়লাভ করেছেন- ২৯ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৪০ টি ম্যাচে।

 

৯।রাজিন সালহ (২০০৪সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ২ টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ২ টি ম্যাচে।

 

১০।মোহাম্মদ আশরাফুল (২০০৭ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ৩৮ টি।

জয়লাভ করেছেন- ৮ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৩০ টি ম্যাচে।

 

১১।সাকিব আল হাসান(২০০৯ থেকে- ২০১৫ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ৫০ টি।

জয়লাভ করেছেন- ২৩ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ২৬ টি ম্যাচে।

অমিমাংসিত হয়েছে- ১ টি ম্যাচ।

 

১২।মাশরাফি বিন মর্তুজা (২০১০ থেকে -২০১১ সাল এবং ২০১৪ থেকে- ২০২০ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ৮৫ টি।

জয়লাভ করেছেন- ৪৭ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৩৬ টি ম্যাচে।

অমিমাংসিত হয়েছে- ২ টি ম্যাচ।

 

১৩। মুশফিকুর রহিম (২০১১ থেকে – ২০১৪ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ৩৭ টি।

জয়লাভ করেছেন- ১১ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ২৪ টি ম্যাচে।

অমিমাংসিত হয়েছে- ২ টি ম্যাচ।

১৪। তামিম ইকবাল (বর্তমান)

data calculating…………

এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল টি-টোয়েন্টি রেংকিং এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড কে হারিয়ে বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য প্রকাশ করেছে।

এক নজরে,

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়ক দের তালিকা

১। শাহরিয়ার নাফিস (২০০৬)

ম্যাচ খেলেছেন – ১ টি।

জয়লাভ করেছেন- ১ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ০ টি ম্যাচে।

২। মোহাম্মদ আশরাফুল (২০০৬- ২০০৯ সাল)

ম্যাচ খেলেছেন – ১১ টি।

জয়লাভ করেছেন- ৯ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ২ টি ম্যাচে।

এছাড়াও মুশফিকুর রহিম সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন রেখেছেন। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলমাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে খেলছে।

বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের তালিকা

১।বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান

ম্যাচ খেলেছেন – ১ টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১ টি ম্যাচে।

২। বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া

ম্যাচ খেলেছেন – ৬ টি।

জয়লাভ করেছেন- ১ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৫ টি ম্যাচে।

৩। বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড

ম্যাচ খেলেছেন – ১০ টি।

জয়লাভ করেছেন- ১ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৯ টি ম্যাচে।

৪। বাংলাদেশ বনাম ভারত।

ম্যাচ খেলেছেন – ১১টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৯ টি ম্যাচে।

ড্র করেছেন- ২ টি ম্যাচে।

৫। বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড।

ম্যাচ খেলেছেন – ১৫ টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১২ টি ম্যাচে।

ড্র করেছেন- ৩ টি ম্যাচে।

৬। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান।

ম্যাচ খেলেছেন – ১১ টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১০ টি ম্যাচে।

ড্র করেছেন- ১ টি ম্যাচে।

৭। বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা।

ম্যাচ খেলেছেন – ১২টি।

জয়লাভ করেছেন- ০ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১০ টি ম্যাচে।

ড্র করেছেন-২ টি ম্যাচে।

৮। বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা।

ম্যাচ খেলেছেন – ২০ টি।

জয়লাভ করেছেন- ১ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১৬ টি ম্যাচে।

ড্র করেছেন- ৩ টি ম্যাচে।

৯। বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ম্যাচ খেলেছেন – ১৮ টি।

জয়লাভ করেছেন- ৪ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ১২ টি ম্যাচে।

ড্র করেছেন-২ টি ম্যাচে।

১০। বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে।

ম্যাচ খেলেছেন – ১৭ টি।

জয়লাভ করেছেন- ৭ টি।

পরাজিত হয়েছেন- ৭ টি ম্যাচে।

ড্র করেছেন-৩ টি ম্যাচে।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ কততম ?

যদিও বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের জগতে নবীন একটি দল তবুও বাংলাদেশে দিন দিন তার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল টেস্ট ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বর স্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচিং স্টাফ

 

প্রধান কোচ: রাসেল ডমিঙ্গো(দক্ষিণ আফ্রিকা)

ব্যাটিং কোচ: জন লুইস (ইংল্যান্ড)

ফাস্ট বোলিং :কোচ অটিস গিবসন(বার্বাডোস)

স্পিন বোলিং: কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি (অস্ট্রেলিয়া)/সোহেল ইসলাম (বাংলাদেশ)

ফিল্ডিং কোচ: রায়ান কুক (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ফিজিওথেরাপিস্ট: জুলিয়ান কালেফাতো (দক্ষিণ আফ্রিকা)

সাইকোলজিস্ট : আলী আজহার খান (বাংলাদেশ)

ফিজিশিয়ান : ডাক্তার দেবাশীষ রায় চৌধুরী

ম্যানেজার : খালেদ মাহমুদ

মিডিয়া ম্যানেজার: রাবিদ ইমাম

দক্ষতা বিশ্লেষক: শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর।( ভারত)

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর খেলোয়াড় সংখ্যা অধিক হলেও সফলতম খেলোয়াড়ের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। যদি আমি উল্লেখ করে বলছি না যে একে সফল আর কে অসফল।

এক নজরে,

বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিছু ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যান

 

১। তামিম ইকবাল

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল

জন্মঃ ২০ মার্চ, ১৯৮৯ সাল।

বয়সঃ ৩২ বছর।(বর্তমান)

ব্যাট স্টাইলঃ লেফট হ্যান্ডেড।

 

i. টেস্ট ক্রিকেট ক্যারিয়ার

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৬৪টি।

ইনিংসঃ ১২৩ টি।

রান করেছেনঃ ৪৭৮৮ রান।

গড় রানঃ ৩৯.৫৭ রান।

স্ট্রাইকরেটঃ ৫৭.৭৬

বেস্টঃ ২০৬ রান।

সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৯ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৩১ টি।

ii.ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ার

ম্যাচ খেলেছেনঃ ২১৯টি।

ইনিংসঃ ২১৭ টি।

রান করেছেনঃ ৭৬৬৬ রান।

গড় রানঃ ৩৬.৮৬ রান।

স্ট্রাইকরেটঃ ৭৮.৬

বেস্টঃ ১৫৮ রান।

সেঞ্চুরি করেছেনঃ ১৪ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৫১ টি।

 

iii. টি টুয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ার 

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৭৮টি।

ইনিংসঃ ৭৮ টি।

রান করেছেনঃ ১৭৫৮ রান।

গড় রানঃ ২৪.০৮ রান।

স্ট্রাইকরেটঃ ১১৭.২

বেস্টঃ ১০৩ রান।

সেঞ্চুরি করেছেনঃ ১ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৭ টি।

 

২।সাকিব আল হাসান

shakib al hasan

জন্মঃ ২৪ মার্চ, ১৯৮৭ সাল।

বয়সঃ ৩৪ বছর।(বর্তমান)

ব্যাট স্টাইলঃ লেফট হ্যান্ডেড।

 

i. টেস্ট ক্রিকেট ক্যারিয়ার

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৫৮টি।

ইনিংসঃ ১০৭ টি।

রান করেছেনঃ ৩৯৩৩ রান।

গড় রানঃ ৩৯.৩৩ রান।

স্ট্রাইকরেটঃ ৬১.৬৬

বেস্টঃ ২১৭ রান।

সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৫ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ২৫ টি।

 

ii.ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ার

ম্যাচ খেলেছেনঃ ২১৫টি।

ইনিংসঃ ২০৩ টি।

রান করেছেনঃ ৬৬০০ রান।

গড় রানঃ ৩৭.৭১ রান।

স্ট্রাইকরেটঃ ৮২.১৪

বেস্টঃ ১৩৪ রান।

সেঞ্চুরিঃ করেছেনঃ ৯ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৪৯ টি।

 

iii. টি টুয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ার 

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৯১টি।

ইনিংসঃ ৮৯ টি।

রান করেছেনঃ ১৮৭১ রান।

গড় রানঃ ২৩.৪৯ রান।

স্ট্রাইকরেটঃ ১২১.১

বেস্টঃ ৮৪ রান।

সেঞ্চুরি করেছেনঃ ০ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৯ টি।

 

৩।মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

Mahmudullah Riyad

জন্মঃ ৪ ফেব্রুয়ারী , ১৯৮৬ সাল।

বয়সঃ ৩৫ বছর।(বর্তমান)

ব্যাট স্টাইলঃ রাইট হ্যান্ডেড।

 

i. টেস্ট ক্রিকেট ক্যারিয়ার

ম্যাচ খেলেছেনঃ ৫০টি।

ইনিংসঃ ৯৪ টি।

রান করেছেনঃ ২৯১৪ রান।

গড় রানঃ ৩৩.১১ রান।

স্ট্রাইকরেটঃ৫৩.৪১

বেস্টঃ ১৫০ রান।

সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৫ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ১৬ টি।

ii.ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ার

ম্যাচ খেলেছেনঃ ২০০টি।

ইনিংসঃ ১৭৪ টি।

রান করেছেনঃ ৪৪৬৯রান।

গড় রানঃ ৩৪.৬৪ রান।

স্ট্রাইকরেটঃ ৭৭.০১

বেস্টঃ ১২৮ রান।

সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৩ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ২৫ টি।

 

iii. টি টুয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ার 

ম্যাচ খেলেছেনঃ ১০৫ টি।

ইনিংসঃ ৯৭ টি।

রান করেছেনঃ ১৮৬০ রান।

গড় রানঃ ২৪.৪৭রান।

স্ট্রাইকরেটঃ ১১৯.৭৭

বেস্টঃ ৬৪ রান।

সেঞ্চুরি করেছেনঃ ০ টি।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেনঃ ৬ টি।

 

এই ছিলো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান। উপরিউক্ত সকল পরিসংখ্যান বিভিন্ন ওয়েবসাইট ইউটিউব এবং উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান গুলোতে যদি কোন ভুল থেকে থাকে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন কমেন্টে তা জানিয়ে দিবেন।সময় সংকীর্ণতা থাকার কারণে আজকে এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

আরও পরতে এখানে ক্লিক করুন।

My facebook profile

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *