মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভাল আছেন। আপনাদের সুবিধার্থে এবং সাহায্যার্থে আমি একটি কনটেন্ট নিয়ে এলাম । কনটেন্ট এর মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়।
আসলেই ২০ হাজার টাকা কিন্তু খুব কম টাকা নয় বরং অফলাইনে কাজ করে ২০ হাজার টাকা আয় করতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়। সাধারণ দিন মজুর যারা তারা সারাদিন পরিশ্রম করে মাসে বড়জোর ১৫০০০ টাকা ইনকাম করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ঘাম ঝরাতে হবে এতদসত্ত্বেও আপনি এর ফলস্বরূপ ভালো কিছুই ভাবেন।
আমাদের দেশে অধিকাংশ এনজিও এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাধারণ কর্মচারীর বেতন মাসিক সর্বোচ্চ ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা হয়ে থাকে। এ টাকা দিয়ে মোটামুটি তাদের দিনকাল ভালই চলত।
কিন্তু বর্তমানে পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, ব্যয়বহুল জীবন যাপন, পরিবারের অর্থনীতি ভেঙে পড়া ইত্যাদি কারণে ১৫০০০ টাকা কিংবা কিছু বেশি টাকা দিয়ে মাসিক সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।
তাই সংসারের ব্যয় মেটাতে অধিক ইনকাম করতে হয়। অধিক ইনকাম করার জন্য আপনার দরকার মেধা ,সৃজনশীলতা, শ্রম দেওয়ার সক্ষমতা ইত্যাদি।
আপনি যদি মাসে ২০ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং মাঠ পর্যায়ে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সর্বনিম্ন পড়ালেখা টুকু জানতে হবে।
তবে হতাশ হবেন না, আল্লাহ আপনার সাথে আছেন। আপনি গুগলে ঘাটাঘাটি করে হয়তো এ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য নাও পেতে পারেন। কারণ কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে সব সময় বিস্তারিত দেওয়া হয় না। আপনাকে নিজের মেধা খাটিয়ে মাঠ পর্যায়ে আমাদের দেওয়া আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়: ইনকাম করতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় আগে অর্জন করতে হবে। আমি উপরের অংশে বলে দিয়েছি আপনাকে সামান্য পড়ালেখা টুকু জানতে হবে। ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে বেশি কার্যকর প্রভাব ফেলে। আপনি হয়তো ও কোনো নতুন ব্যবসা শুরু করার পর ইনস্ট্যান্ট সফলতা নাও পেতে পারেন আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে।
আমাদের দেওয়া আইডিয়া গুলোর মধ্যে অধিকাংশই অফলাইন বা শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন এ সম্পর্কে। তবে অনলাইনে নিজ অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আপনি ২০ হাজার কেন এর চেয়েও অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
আয় করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে বর্তমান জামানার সবচেয়ে চমকপূর্ন অনলাইন কাজ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। অনেকের মাথায় হত ফ্রিল্যান্সিং কথাটি কি এটাই ঢুকে না। তবে চিন্তিত হবেন না। সফলতা পেতে হলে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আনজানা অনলাইন সবসময় ঘাটাঘাটি করি তারা ভাল করেই জানি ফ্রিল্যান্সিং কি। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি জব যা করে আপনি বিভিন্ন রকমের অনলাইন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট আছে।
যেমন ধরো freelance.com , upwork.com ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি হাজারো রকমের কাজ পাবেন যেগুলো আপনি ঘরে বসেই সম্পন্ন করে ইনকাম করতে পারবেন।
এসব কাজ করার জন্য আপনাকে আগেই অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হবে। তবে ফ্রিল্যান্সিং করা এতটাও সহজ নয় যতটা সহজ ভাবে আমি উপস্থাপন করছি।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে আগে অবশ্যই কোর্স সম্পন্ন করে শিখতে হবে। তবে ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন বিষয়ের উপর হয়ে থাকে। এখন আপনি যে বিষয়টিকে পছন্দ করবেন সেই বিষয়ের উপর কোর্স করবেন। এমনটা নয় যে আপনাকে সব বিষয় শিখতে হবে।
ধরেন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপিং শিখবেন। তাই আপনি কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপ করা যায় সে সম্পর্কে করবেন। ওয়াডপ্রেস দেভেলোপের শিখবেন জন্য আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনার কোর্স করতে হবে না। আপনি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় কোর্স কমপ্লিট না করে নিজে নিজেই কষ্ট করে ফ্রিল্যান্সিং শেখা। আপনার সামনে যদি এক বছর সময় থাকে অর্থাৎ আপনি যদি শিক্ষার্থী হন তাহলে আপনি কোর্স কমপ্লিট না করেই নিজে বিভিন্ন রিসার্চ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন তাহলে আশা করি কাজে দিবে। আপনি যখন এই কোর্স কমপ্লিট করে ফেলেন তখন সেটা হয়ে যাবে মুখস্থবিদ্যা অর্থাৎ আপনার সৃজনশীলতা মুখ থুবরে পড়বে।
কথায় আছে “কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে”। তবে আপনি যদি মনে করেন যে আপনার সামনে খুব বেশি একটা সময় নেই তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই কোর্স করুন. কোর্স কমপ্লিট করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমূল্যে পোস্ট দিয়ে থাকে যেমন রবি টেন মিনিট স্কুল । এছাড়াও ইংরেজি ভাষায় আপনি উন্নতমানের পোস্ট পাবেন স্বল্পমূল্যে সেগুলোর কয়েকটি নাম হচ্ছে giraffe academy , khan academy ইত্যাদি।
ধরুন আপনি ফ্রিল্যান্সিং ছয় মাসের শিখিয়ে গেলেন।
এরপর কোন একটি কাজ সম্পন্ন করে ডলার পেয়ে গেলেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ডলারগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকে কনভার্ট করতে হবে। তার পরই কেবল আপনি এই টাকাগুলো হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বনিম্ন ১০ মাস ধৈর্য ধরতে হবে তা না হলে আপনি সফলতা নাও পেতে পারেন। কিন্তু একবার যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করার মজা পান তাহলে কখনই এটি ছাড়বেন না।
ব্যবসা করে আয়

মাসে ২০ টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন ? ব্যবসা করুন, তাহলেই এটা সহজেই সম্ভব। তবে যে ব্যবসায় করুন না কেনো সেটা যেন হালাল হয়। তবে ব্যবসা করে আপনি যদি ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে বিশেষ কয়েক ধরনের ব্যবসা করতে হবে।
যেমন ধরুন আপনি গ্রামে বসবাস করলে বড় ধরনের কাঁচামালের দোকান ধরতে পারেন। এছাড়াও আপনি অনলাইন এ পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
তবে ব্যবসা করতে গেলে আপনার ন্যূনতম কিছু একটা মূলধন থাকতে হবে। আপনার মূলধন যত বেশি হবে আপনি তত বড় ধরনের ব্যবসা চালু করতে পারবেন।
ধরুন আপনার মূলধন এক লক্ষ টাকা এখন আপনি কি ব্যবসা করলে উন্নতি লাভ করতে পারবেন?
আপনার মূলধন যদি 1 লক্ষ টাকা হয় তাহলে আপনি কোন কোম্পানির ডিলার হয়ে যেতে পারেন। তবে সে কোম্পানি, ছোট কম্পানী হতে হবে কারণ বড় ধরনের কোম্পানিগুলোর ডিলার শিপ অনেক বেশি টাকা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ আপনি কেয়া কসমেটিকস এর ডিলারশিপ এক লক্ষ টাকা দিয়ে দিলেন।
আপনি যদি ঠিকমত এক বছর ব্যবসা করতে পারেন অর্থাৎ ধৈর্যের সাথে ব্যবসা করতে পারেন দেখবেন আপনি অনেক সফলতা পেয়ে গেছেন। সফলতা পাওয়ার পর আপনি কিভাবে তারকা যাবেন সেটা আপনাকে আর বলতে হবে না আপনি নিজে নিজেই শিখে যাবেন। তবে ডিলারশিপ পাওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয় বরং চ্যালেঞ্জ পূর্ণ।
এছাড়াও আপনার বাসা যদি সীমান্তবর্তী কোন স্থল বন্দরের পাশাপাশি হয় তাহলে আপনি ইম্পর্ট এবং এক্সপোর্টের ব্যবসা করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি পার্টনারশিপ করে অনেক কয়েকজন মিলে ইমপোর্ট এক্সপোর্টের ব্যবসা করবেন।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি ব্যবস্থা হচ্ছে গালামালের দোকান। গালামাল দোকান দেওয়ার আগে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি যে স্থানে গালামাল দোকান দিবেন সে স্থানে পণ্যের চাহিদা কতটুকু, ফোন পণ্যগুলোর চাহিদা বেশি। এজন্য আপনাকে বাজার রিচার্জ করতে হবে।
এর বাইরে আর একটি কাজ করা যেতে পারে, সেটি হচ্ছে ফুটপাতে দোকান। যারা ফুটপাতে সন্ধ্যার সময় বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে খোঁজ নিয়ে দেখেন তারা দিনে কমপক্ষে ১ হাজার টাকা ইনকাম করে। সুতরাং তাদের মাসিক ইনকাম দাঁড়াচ্ছে ৩০ হাজার টাকা
। লজ্জার কিছু নেই ভাই, কাজ করে খেতে কোন লজ্জা নেই।
ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে লাভজনক পেশা হচ্ছে কসমেটিকস পণ্য বিক্রি করা। এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে হবে।
আরো পড়ুন,
কসমেটিকস পণ্য বিক্রি করে আয়

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আশা করা যায় কসমেটিকস ব্যবসা হবে মুদি দোকান এর থেকেও লাভজনক। আপনার আশপাশে যারা কসমেটিকস ব্যবস্থার সাথে যুক্ত রয়েছে তাদের সাথে কথা বলে দেখুন। কসমেটিকস ব্যবসা কতটা লাভজনক ? কসমেটিকস এর পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে কতটুকু লাভ করা যায়?
নিশ্চয়ই আপনি ভালো কিছুই শুনতে পাবেন। কেননা বর্তমানে দিনদিন বিউটি পণ্যগুলোর চাহিদা বাড়ছে এবং আগামীতে আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
আমাদের দেওয়া ব্যবসা গুলোর মধ্যে এই কসমেটিক ব্যবসার আইডিয়া কিন্তু খুব খারাপ না। আপনি আপনার শহরের কসমেটিকসের দোকান গুলোতে একঘন্টা পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝতে পারবেন এ সেক্টরের লাভ সম্পর্কে।
আপনি যদি সত্যিই কসমেটিকস ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
প্রথমেই আপনার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অর্থাৎ একটু বড় পরিমাণে মূলধন থাকতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ আপনি কোন ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় করবেন কোথা থেকে ক্রয় করবেন কোন কোম্পানি থেকে ক্রয় করবেন সেটি আগে থেকে ঠিক করে রাখুন।
এরপর মার্কেট রিসার্চ করে দেখুন যে লোকজন কোন ব্রান্ডের পণ্যগুলোকে বেশি কিনে অর্থাৎ বেশি ক্রয় করে তা দেখে কসমেটিকস বিক্রয়ের জন্য বড় কোম্পানি দিয়ে কে খরিদ করুন।
এরপর আপনাকে স্থান ঠিক করতে হবে যে আপনি আপনার কসমেটিকস দোকান টি কোন স্থানে রাখবেন কিংবা আপনার কসমেটিকস পণ্য গুলো কিভাবে শো করাবেন।
মূলত এই কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারলেই আপনি সফলতা পেয়ে যাবেন আশা করি।
আরো পড়ুন,
- আমি কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও ডাউনলোড করব?(সহজ ৬ টি পদ্ধতি)
- নতুন গেমস ডাউনলোড করুন|২০+ নতুন নতুন গেম ডাউনলোড করুন
- পাকিস্তানি গান ডাউনলোড করতে চাই | পাকিস্তানি গান
ব্লগিং করে আয়

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়: বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা নিজের পড়ালেখা টাকার যোগান দিতে ব্লগিং সেক্টরের সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। ব্লগিং এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনি যত উন্নতি করতে পারবেন কত ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিংয়ের হিসাব দেখলে আপনার মাথায় হাত ধরতে পারে এরকম পরিসংখ্যানও আছে। একটি সাধারণ ব্লক থেকে মাসে ৩০ হতে ৫০ হাজার টাকার মত ইনকাম করা যায় যদি ঠিক মত দেওয়া যায়।
আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করে। তাদের জন্য রয়েছে এই সেক্টর। আপনি লিখতে পারেন কোন টেকনোলজি রিলেটেড কনটেন্ট কিংবা কোন কবিতা কিংবা হতে পারে সেটা কোন অনুপ্রেরণামূলক কনটেন্ট। আপনি যাই লিখেন না কেন তা যদি অন্যের কাছে ভালো ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনি এর থেকে খুব সহজেই ৫০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিংয়ে আয় করার জন্য যা যা করতে হবে?
ব্লগিং করার জন্য প্রথমে আপনার একটি ওয়েবসাইট দরকার। প্রথমেই বলে রাখি এটিই একমাত্র এবং সাশ্রয়ী সেক্টর যেখানে আপনি সবচেয়ে কম টাকা দিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
প্রথমে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার হোস্টিং এবং ডোমেইন এর দরকার হবে। এখানে বড়জোর আপনার 1000 টাকা থেকে পনেরশো টাকা খরচ হতে পারে এক বছরের জন্য।
এরপর আপনার ওয়েবসাইট প্রয়োজনমতো নিচের ডিজাইন করে নিবেন কিংবা অন্যের দ্বারা ডিজাইন করিয়ে নেবেন।
তারপর আপনি লেখালেখির কাজ শুরু করে দেবেন। তবে লেখালেখি করার জন্য আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে লেখালেখি করবেন। তাহলে গুগল থেকে ভিজিটর আসবে খুব বেশি পরিমাণে , আপনার ওয়েবসাইটে।
এখানে একটা কথা বলি এ রাখি, আপনি আপনার কনটেন্ট গুলো অর্থাৎ লেখনি গুলো গুগলে যত সামনে রান করাতে পারবেন ঠিক ততো সংখ্যক ভিজিটর পাবেন।
এরপর ভিজিটর বেশি আসলে আপনি গুগল এডসেন্স এড নেটওয়ার্ক এ এপ্লাই করবেন। অ্যাপ্রুভ করে তাদের অ্যাড আপনার ওয়েবসাইটে বসাবেন এবং আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবিং করে আয়

২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খোঁজার কোন দরকার নেই, আপনার ফোনের মাধ্যমে আপনি ইউটিউবিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট খুলতে হয়ত হোস্টিং এবং ডোমেইন এর মূল্য প্রদান করতে হয় কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল খোলার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি টাকাও প্রদান করতে হবে না।
এরপর আপনার কনটেন্ট হবে আপনার ইউটিউব এ জনপ্রিয়তা এবং ইনকাম করার হাতিয়ার।
আপনি হয়তো অনেক স্বনামধন্য ইউটিউবার কে চিনেন যারা গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্স ক্রিয়েট করে। তাদের আয়ের শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
একেকটি ইউটিউবার এক মাসে সর্বনিম্ন ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা ইনকাম করে থাকেন। তাদের জনপ্রিয়তা যত বেশি তাদের ইনকাম কত বেশি হয়।
২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আজই ইউটিউবিং কে আপনার পেশা হিসেবে গ্রহণ করুন।
আরো পড়ুন,
- পাইলস কি? পাইলস কেনো হয়? পাইলস সারানোর উপায় ?
- মৌলিক পদার্থ কাকে বলে? মৌলিক পদার্থ কি এবং কত প্রকার?
- পদার্থ কাকে বলে? পদার্থ কি এবং কত প্রকার?
ইউটিউবে করতে হলে কি কি করতে হবে?
প্রথমত আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার ক্ষেত্রে আপনি প্রফেশনাল কিনবে পারসোনাল যেকোনো চ্যানেল খুলতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই।
চ্যানেল খোলার পর আপনার পরবর্তী কাজ হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড দেওয়া। আপনার কনটেন্ট যত ইউনিক হবে এবং তথ্যবহুল হবে আপনি ততো বেশি পরিমাণ ভিউজ পাবেন।
আগে বলে রাখি শুরুর দিকে আপনি যখন চ্যানেলে ভিডিও আপলোড দিবেন তখন আপনি তাৎক্ষণিক কোনো ভিউ নাও পেতে পারেন।
কারণ এটা ইউটিউব অ্যালগোরিদমের খেলা। যেকোনো সময় যে কেউ পপুলার হয়ে যেতে পারে। তবে আপনি ইউটিউবে যখন ভিডিও আপলোড দিবেন তখন ইউটিউবে ভিডিও লিংকটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে দিবেন তাহলে আপনি এর থেকে অনেক ভিউ পেয়ে যেতে পারেন।
শুরুর দিকে প্রথম তিন মাস আপনি ভিডিও আপলোড করবেন নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময়ে। ধরেন আপনি প্রত্যেকদিন এই তিনটা করে ভিডিও আপলোড দিবেন। একটি সকালে একটি দুপুরে এবং আরেকটি রাতে। এভাবে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড দিলে ইউটিউব অ্যালগরিদম আপনার চ্যানেলকে ভালো চোখে দেখবে।
এভাবে আপনি নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড দেওয়ার পর নির্ধারিত ওয়াচ টাইম এবং ভিউ অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বসানোর অ্যাপ্রভাল পাবেন।
তবে সেক্টরে প্রদর্শিত হতে সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে ১ বছর লাগবে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে মেয়েদের জন্য আলাদা কিছু কাজ আছে যেগুলো আমার আইডিয়া হিসেবে আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আয়?

যেহেতু মেয়েরা রাস্তায় কিংবা অন্য কোথাও শারীরিক পরিশ্রম করে ইনকাম করতে পারবেন না সেহেতু তাদের এ বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে এই জবটির কথা বলা হচ্ছে।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে আয় করার জন্য আপনাকে এর থেকে ধারণা নিতে হবে আগে।
প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি যখন তৃতীয় পক্ষ হিসেবে পণ্য বিক্রয় করেন তখন সেই প্রোগ্রামকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বলে।
এখানে পণ্য বিক্রয়ের জন্য প্রোগ্রাম এর দরকার কি আছে? আসলে প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে জানা যায় যে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কোন ব্যক্তি ছিল, যে ব্যক্তি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কোন পণ্য বিক্রয় করবে তার অ্যাকাউন্টে উক্ত পণ্যের নির্ধারিত অংশ জমা হবে.
যদি বুঝতে না পারেন তাহলে এই উদাহরণটি লক্ষ করুন,
একজন যখন অন্য একজনের পণ্য বিক্রি করে তখন প্রথম ব্যক্তি পণ্যের মালিকের থেকে কিছু টাকা পাওয়ার দাবি রাখে।
ঠিক এরকমভাবে আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
প্রথমত আপনি যে কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রাম ব্যবহার করবেন সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
ধরেন আপনি অ্যামাজনে একটি একাউন্ট খুললেন তারপর সেখানে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ক্রিয়েট করে সেই লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করলেন।
এরপর আপনিই সেই লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটের কোনো আর্টিকেলে শেয়ার করলেন এবং সেই আর্টিকেলটি গুগলে রেঙ্ক করালেন।
এরপর গুগোল থেকে যে ভিজিটর আসবে তা সরাসরি আপনার আর্টিকেল এ প্রবেশ করবে।
ধরুন আপনার যে লিঙ্কটি আছে সেই লিংকটি ফ্রিজ পণ্যের ।
এখন যে লোক গুলো আপনার সেই লিঙ্কে ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করবে তখন অটোমেটিক আপনার একাউন্টে ফ্রিজ থেকে অর্জিত মুনাফার একটা অংশও যোগ হয়ে যাবে।
সর্বশেষ আর্টিকেল,
- আমাদের দেশ রচনা। এক হাজার শব্দের মধ্যে রচনা।
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা, সাথে পিডিএফ (পরীক্ষা ও রচনা প্রতিযোগিতার জন্য)
- চিঠি লেখার নিয়ম বাংলায় (Rules of writing letters in Bengali)
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয়
বিশেষ করে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র এবং শখের জিনিস প্রস্তুত করতে পারদর্শী। যেমন সেটা হতে পারে কোন ফুলদানি কিংবা হাতের কাজ করা জামা, বিভিন্ন রকমের বই ইত্যাদি ইত্যাদি।
মেয়েরা তাদের এসব জিনিসপত্র অনলাইনে বিক্রি করতে পারে, যদি তারা ঠিকমতো কাজ।
অনলাইনে বিক্রি করার জন্য তারা একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারে, কিংবা ফেইসবুক গ্রুপ খুলতে পারে সেখানে তারা পার্টনারশিপে অনেক কয়েকজন মিলে কাজ করে মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারে।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং ও ইউটিউবিং
ব্লগিং এবং ইউটিউবিং সম্পর্কে আপনাদের আগেই বলে দিয়েছি। যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিংবা অন্যান্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করেন তারা যদি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খোঁজেন তাহলে এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন।
যারা এই সেক্টরে কাজ করার জন্য আগ্রহী তারা দেরি করবে না অবিলম্বে যোগদান করুন। কেননা এই সেক্টরে দিনদিন প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে আপনি যত দেরি করে যোগ দিবেন আপনাকে ততো পরিশ্রম করে সফল হতে হবে।
অ্যাপস দিয়ে ইনকাম
যারা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে তাদের জন্য এই অ্যাপস দিয়ে ইনকাম করাটা খুব সহজ। তবে প্রথমে আপনাকে সামান্য অ্যাপস ডেভেলোপিং শিখতে হবে।
সামান্য ভালোবাসার কবিতা লাভ মেসেজ ইত্যাদি অ্যাপস গুলো দিনে কত টাকা ইনকাম করে তা আপনার ধারণার বাইরে।
অ্যাপস তৈরি করতে খুব বেশি প্রোগ্রামিং জানতে হবে না। সাধারণ মানের প্রিন্টার সস তৈরি করেই আপনি বিভিন্ন রকমের তথ্যসমৃদ্ধ অ্যাপস তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন।
আমার শেষ কথা,
আশা করি আপনাদের বিস্তারিত তথ্য দিতে পেরেছি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।
আমি আমার বিভিন্ন আইডিয়া আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম মাত্র। কেউ খারাপ ভাবে নিবেন না।
যদি এই কনটেন্টে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং পরিশেষে যদি এই কনটেন্ট সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
Please visit our site: জন্ম নিবন্ধন
>>>>>>Related Contents<<<<<